সরকারহীন বাংলাদেশে কার্যত তাণ্ডব চালাচ্ছে একদল উন্মত্ত জনতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তির পরে এবার ভাঙা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিও! আর বাইশে শ্রাবণ, কবির প্রয়াণ দিবসে এই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, লেখিকা তসলিমা নাসরিনরা।
ড. পবিত্র সরকার বলেন, “এ ঘটনায় দুঃস্বপ্নেও ভাবা যায় না। ভয়ংকর। যে মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল, তাঁর মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। যে রবীন্দ্রনাথের নামে বাঙালির আত্মপরিচয়, সেই কবিগুরুর মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনের নামে এরা কারা? এতে নিশ্চয়ই কোনও বিদেশি শক্তির উসকানি রয়েছে। এরপর হয়তো সোনার বাংলাও আর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত থাকবে না।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “মবোক্রেসি থেকে ডেমোক্রেসি কি আদৌ আসবে? সেটা ডেমোক্রেসি নয় কিন্তু, যদি মবোক্রেসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও একটা রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন থেকে গায়ের জোরে বাদ দিতে হয়। যে মবকে পুলিশ বা আর্মি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সেই মবকে নিয়ন্ত্রণ কে করবে? যে ‘জাগ্রত ছাত্র জনতা’ রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে মানুষকে মুগ্ধ করেছিল, সেই জাগ্রত ছাত্র জনতা রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য ভেঙে গুঁড়ো করেছে। তাহলে ওই গান ছিল লোক দেখানো? ছিল ‘ভুয়া’? সেই ছাত্ররা কি তাদের স্কুলে আর ফেরত যেতে পারবে যে ছাত্ররা হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে? পাবলিক প্রপার্টি পুড়িয়ে দিয়েছে? মানুষের ঘরবাড়ি লুট করেছে? আমার মনে হয় না। খুনের নেশা কিন্তু মারাত্মক। নতুন সরকার অপছন্দের কাজ করলে নতুন সরকারকেও খুন করতে যাবে তারা।”