‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানে পুলিশি ‘আক্রমণ’-এর বিরুদ্ধে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর এই বনধকে ব্যর্থ করার আহ্বান করে নবান্ন থেকে পৃথকভাবে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস ও মুখ্যমন্ত্রী উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়া বনধ মানছে না রাজ্য সরকার। বুধবার স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত গণপরিবহনকে রাস্তায় থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি দফতরে কর্মীদের যথাসময়ে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “যারা লাশের রাজনীতি করতে আজ পথে নেমেছিল, তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ সংযমের পরিচয় দিয়ে অশান্তি রুখতে সফল হয়েছে। তাই বাংলাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য বিজেপি চক্রান্ত করে এই বনধ ডেকেছে। রাজ্যের মানুষ বাংলা বিরোধীদের এই চক্রান্ত ব্যর্থ করে জনজীবন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখবেন। আগামীকাল তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ রাখবেন।”