আজ সোমবার, কৌশিকী অমাবস্যা। ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথিকেই বলা হয় কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠে এদিন বিশেষ উপাচারে মা তারার পুজো হয়। সাধক বামা ক্ষ্যাপাও এই দিনেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তন্ত্রমতে যাঁরা মা কালীর আরাধনা করেন, এই দিনটি তাঁদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পুরাণ অনুযায়ী, এই দিনেই দেবী মা শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন। কৌশিকী অমাবস্যার রাতকে অনেকে তারা রাত্রিও বলেন। শাস্ত্র মতে, আজকের দিনে বিশেষ কিছু রীতি মেনে চললে সংসারে সমৃদ্ধি আসে, জীবন খুশিতে ভরে ওঠে। ঠিক তেমনই এই দিনে এমন কিছু কাজ আছে, যা করলে জীবনে নেমে আসে চরম অন্ধকার। মা তারার কোপে আর্থিক অনটন এমন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, যে আপনি হয়ে যেতে পারেন পথের ভিখারী। তাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল এদিনের খাদ্যতালিকা। জ্যোতিষ মতে, এদিন এমন কিছু খাবার আছে যা খাওয়া তো দুরস্থ, ছুঁতে পর্যন্ত নেই। নাহলে নেগেটিভ এনার্জিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে আপনার জীবন। কী সেই খাবার? জেনে নেব আমরা।
১) আমিষ জাতীয় খাবার: জ্যোতিষীরা বলছেন, কৌশিকী অমাবস্যায় ভুলেও খাবেন না আমিষ জাতীয় কোনো খাবার। মাছ, মাংস, ডিম এদিন একেবারেই চলবে না।
২) পেয়াঁজ, রসুন: নিরামিষ আহারের দিনেও পেয়াঁজ-রসুন খেয়ে থাকেন অনেকেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও পেঁয়াজ-রসুনকে আমিষ তালিকায় ধরা হয় না। কিন্তু জ্যোতিষ মতে, কৌশিকী অমাবস্যায় পেয়াঁজ-রসুন খাওয়া একেবারেই চলবে না। এমনকী, এদিন বাজার থেকে পেয়াঁজ-রসুন কিনতেও নিষেধ করছেন জ্যোতিষীরা।
৩) পোড়া খাবার: অনেক সময়ই রান্না করতে গিয়ে অনেক কিছু একটু আধটু পুড়ে যায়। আমরা তা খেয়েও ফেলি। আবার অনেক খাবার আমরা ইচ্ছা করেই পুড়িয়ে খাই, যেমন- বেগুন, টমেটো ইত্যাদি। কিন্তু জ্যোতিষ মতে, কৌশিকী অমাবস্যায় কোনও পোড়া খাবার খাওয়া চলবে না।
৪) বাসি খাবার: এই বিশেষ দিনে বাসি কোনও খাবার ভুলেও মুখে তুলবেন না, বলছেন জ্যোতিষীরা। নইলে আপনার জীবনে বাড়তে পরে নেগেটিভ এনার্জি।
৫) মদ ও অন্য নেশার দ্রব্য: জ্যোতিষীদের মতে, এই বিশেষ দিনে ভুলেও স্পর্শ করবেন না মদ বা অন্য কোনও নেশার দ্রব্য। এতে মা তারা রুষ্ট হন।