টানা দুদিনের দুর্যোগে বিপর্যস্ত রাজ্যের জনজীবন। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও রাতভর বৃষ্টিতে প্লাবিত শহর থেকে গ্রাম। কোথাও তো রাস্তায় নামতে হয়েছে নৌকাও। জলমগ্ন কলকাতার একাধিক এলাকাও। আর প্রবল এই দুর্যোগে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্যে ৭ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ছেলে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মা নিজেও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২ জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
হাওড়ার দাশনগরে বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় মিটার বক্সের মেন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫ বছরের যুবকের। টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানা এলাকার পাথরডোবা গ্রামে মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয় ৬৫ বছরের বৃদ্ধের। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জেও মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৫৫ বছরের এক মহিলার।
অন্যদিকে, কালিম্পঙের মামখোলায় সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ধস নামে। ওই ধসের জেরে মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। ৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও শুক্রবার বিকেলে নিখোঁজ আরও ২ শ্রমিক।