Sambad Samakal

সত্যিই কি বর্ষায় কলকাতা বানভাসি হওয়ায় বিজেপির দুই বড় নেতা দায়ী?

Jun 19, 2021 @ 1:36 am
সত্যিই কি বর্ষায় কলকাতা বানভাসি হওয়ায় বিজেপির দুই বড় নেতা দায়ী?

জানেন কি, কলকাতা বানভাসি হওয়ার জন্যই পরোক্ষে দায়ী বিজেপির দুই নেতা। এদের একজন বর্তমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অন্যজন ভোটে দঁাড়িয়ে হেরে যাওয়া প্রাক্তন দাপুটে মন্ত্রী রাজীব বন্দে্যাপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, দু’জনেই ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী। যদি বছর কয়েক আগের একটু পুরোনো সংবাদপত্র উল্টে দেখা যায়, তবে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রীর মার্কশিটে পারফর্ম্যান্সের বিচারে দু’জনেই স্টার পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন শত্রু শিবিরে যাওয়ায় দু’জনেই ভিলেন। দিঘার বঁাধ ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে কলকাতা বানভাসি হওয়া। কারণ, নবান্নে মুখ্যসচিবের ডাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কলকাতার আটটি খাল গত কয়েক বছরে ড্রেজিং না করায় নাব্যতা করে যাওয়ায় জমা জল সরছে না। এর জন্য দায়ী প্রাক্তন সেচমন্ত্রী। যেদিন কলকাতা বানভাসি হল সেদিনই নাম না করে প্রাক্তন দুই সেচমন্ত্রী ও বর্তমানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দে্যাপাধ্যায়ের সময়ে যথেষ্ট কাজ হয়নি বলেও কটাক্ষ করেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বলেন, “ আগের সেচমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে বলেও শহর ঘিরে থাকা এই খালগুলি সংস্কার করাতে পারিনি।” আসলে তঁার টার্গেটের মূল লক্ষ্য ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বস্তুত এই তত্ত্ব মেনে নেওয়ার পরেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মুখ্যসচিব বৈঠকে বসে কলকাতার আটটি খালকে চিহ্নিত করে ড্রেজিং শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের অধীন কলকাতার দুই মনি খাল ও কেপিটি খাল দিয়েই এই কাজ শুরু হবে।
সেচ দফতরের অধীন চিহ্নিত খালগুলির নাব্যতা কমে যাওয়া এবং বর্জ্য জমে প্রবাহ অনেকটাই ধীরগতি হওয়ার জন্যই শহরের ভারী বৃষ্টির জেরে জমাজল নামেনি। পাম্পিং স্টেশন ও নিকাশি থেকে খালগুলিতে বর্ষার জল পড়লেও তা গতি পায়নি। পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মহানগরে ঘিরে থাকা আটটি গুরুত্বপূর্ণ খাল সংস্কার হবে এবং যা টাকা লাগবে তা সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।” প্রায় ২০০ মিলি লিটার বৃষ্টির জেরে মহানগর বানভাসি হওয়ায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নে জমা জল সরানো নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়। ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও সেচের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্র-সহ বিভাগীয় সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা।

Related Articles