বিদেশমন্ত্রক থেকে তাঁর রোম সফরের অনুমতি দেয়নি। আর তাঁর রোম সফর বাতিল হওয়ার ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ মমতা। শনিবার ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচারে এবিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই ঘটনাকে হিন্দুত্বের অপমান বলে ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
তিনি একজন হিন্দু মহিলা, একথা উল্লেখ্য করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, যেখানে অন্যান্য ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেখানে তিনি ছিলেন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি। অথচ তাঁকে যেতে দেওয়া হল না কেন? এটা কি হিন্দুত্বের অপমান নয়?
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব শান্তির জন্য একটা সম্মেলন ছিল রোমে। ২ মাস আগে ওখান থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জার্মান চ্যান্সেলর ওখানে উপস্থিত থাকবেন, ওলি পোপও যাবেন, ইজিপ্টের ইমাম থাকবেন, ইটালির প্রধানমন্ত্রীও হাজির রইবেন। আর আমাকে যেতে বলা হয়েছিল। ইটালি সরকারও আমাদের বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে চিঠি এল, যাওয়ার অনুমতিই বাতিল করে দিল।” প্রশ্ন তোলেন, “যখন বাকি ধর্মের প্রতিনিধিরা ওই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন, তখন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি কেন যাবেন না?”
মমতা বলেন, “আমার বিদেশ ঘোরার কোনও শখ নেই। কিন্তু এর সঙ্গে দেশের সম্মানও জড়িত। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ এসেছিল। ওখানে সকল ধর্মের মানুষেরা থাকবেন। আপনারা শুধু মুখে হিন্দুত্বের কথা বলেন। কিন্তু একজন হিন্দু মহিলা হিসেবে আমাকে যেতে দিলেন না কেন? হিন্দু ধর্মের জন্য মুখে মুখে এত কথা”। স্রেফ হিংসা থেকেই তাঁকে আটকানো হল বলে দাবি করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “জেলাসি, পুরোটাই জেলাসি।”
উল্লেখ্য, আগামী ৬ ও ৭ অক্টোবর ইটালির রোমে বিশ্ব শান্তির উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেসরকারি এক সংগঠনের উদ্যোগে এই আয়োজন। সেখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীও যাবেন বলে জানান। কিন্তু, শনিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর এই রোম সফরের দরকার নেই। সফরে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।