সুশ্বেতা ভট্টাচার্য
ভবানীপুরে ভোটদানের হার ৫০ শতাংশ পেরল। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই কেন্দ্রে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৫৩.৩২ শতাংশ। আর ভোটের হার ৫০ পেরতেই হাসি চওড়া হল মমতা শিবিরের। তৃণমূল নেতাদের দাবি, ভোটের হার ৫০ পেরনোর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিনও অনেক বেড়ে গেল।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তৃণমূল নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, ২০১১ সালের উপনির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৩৯ শতাংশ। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন প্রদত্ত ভোটের ৭৪ শতাংশ ভোট। এদিন ভোটদানের প্রায় শেষলগ্নে ভোটের হার সেবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। মমতার ভোটযুদ্ধের অন্যতম সেনাপতি ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, ‘যা ভোট পড়েছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন বলে আমাদের হিসাব।’
এদিন সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে, একবালপুরে। সেখানে ভোটদানের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। তারপরেই ভোট পড়েছে চেতলায়, ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। এটি ফিরহাদের নিজের ওয়ার্ড। সেখানেও ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে। সবথেকে বেশি নজর ছিল যে ওয়ার্ডে, সেই ৭০ নম্বর ওয়ার্ডেও ৫৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ভোট সব থেকে কম পড়েছে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের দাবি, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে কম ভোট পড়াটা তৃণমূলের পক্ষে পজিটিভ। কারণ, অবাঙালি অধ্যুষিত ওই ওয়ার্ডে একটা বড় সংখ্যক ভোটার থাকেন, যাঁরা অধিকাংশই বিজেপির সমর্থক। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূলের হিসাব, বিজেপির ভোটাররা অনেকেই এদিন ভোট দিতে আসেননি। যদিও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে, গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ আনা হয়েছে পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অসীম বসু থেকে শুরু করে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রের দিকে। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, ‘যা ভোট হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ, এই ওয়ার্ডে ৫৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচনেও এই ওয়ার্ডে তৃণমূল ২ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকলেও আমরা নিশ্চিত, এবার এই ওয়ার্ড থেকেও অনেক বেশি ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিড পাবেন।’ তৃণমূল শিবিরের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন।
এদিন মোটের ওপর শান্তিতেই ভোট হয়েছে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সামশেরগঞ্জে ভোটের হার ছিল ৭৮.৬০ শতাংশ, জঙ্গিপুরে ৭৬.১২ শতাংশ।