মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিজেপি পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল কালীঘাট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, গত ৩ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর হামলার জেরে মাথায় গুরুতর আঘাত পান মগরাহাটের বিজেপি নেতা মানস সাহা। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও দিন কয়েক আগে ফের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দলীয় নেতার মৃত্যুর জন্য শাসকদলকে দায়ী করে সুর চড়ায় বিজেপি। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করে গেরুয়া শিবির। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোতেই তা আটকায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখনই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। সুকান্ত মজুমদার-সহ একাধিক নেতা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ অনেক নেতাই বিক্ষোভে শামিল হন।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকা অর্থাৎ হাই সিকিউরিটি জোনের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ তাঁদের সরানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ডিসি, সাউথ আকাশ মেঘারিয়া। তাঁর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুলিশের বিরুদ্ধেই পালটা অভিযোগে সরব হয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশ বিজেপি নেতার মৃতদেহ ‘হাইজ্যাক’ করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
যদিও শাসক দলের পালটা অভিযোগ, ভাবানীপুর উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর প্রচারের পালে হাওয়া টানতেই বিজেপির এই কৌশল।