টিভি ভেঙে ফেলার অভিযোগে ছোট ছেলেকে ‘শায়েস্তা’ করতে সালিশি সভা বসিয়েছিলেন বাবা। অভিযোগ, সেই সালিশি সভায় কিশোরকে মারধর করা হয়। এরপরই অপমানে আত্মহত্যা করল ওই কিশোর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের মাথাভাঙায়।
মৃত কিশোরের নাম আকাশ দাস। বাবা কার্তিক দাস। মাথাভাঙা শহর লাগোয়া ছাটখাট এলাকার বাসিন্দা কার্তিক। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিয়েও করেন কার্তিক। ফলে প্রথম পক্ষের দুই ছেলে প্রকাশ ও আকাশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়।
ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর এদিন বড় ছেলে প্রকাশে জানায়, শুক্রবার রাতে তারা জনটে পারে বাবার ঘরে টিভি ভেঙে গিয়েছে। কে ভাঙল? দুই ছেলেকেই প্রথমে দোষারোপ করতে থাকেন কার্তিক। পরে সব রাগ গিয়ে পড়ে ছোট ছেলে আকাশের ওপর। কিন্তু আকাশ কিছুতেই অপবাদ মেনে নেয়নি। সে জানায়, টিভি সে ভাঙেনি। এরপর ‘শাস্তি’ দেওয়ার জন্য এদিন সকালে বাড়িতে সালিশিসভা বসান কার্তিক।