সন্ধের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপ। রবিবার থেকে থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া। আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাসের পরই দুর্যোগ মোকাবিলায় কোমর বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। তৎপর লালবাজার। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২২টি দলও।
অতি বৃষ্টিতে নদীগুলির জলস্তর বাড়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শহরাঞ্চলেও ফের জল জমার সম্ভাবনা। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে খোলা হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। এছাড়াও বিশেষ দল গড়ল কলকাতা পুলিশ। দলে থাকছেন কলকাতা পুরসভা, পূর্ত দফতর, দমকল ও সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। কলকাতা পুলিশের তরফে নোডাল অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী। থাকছেন অন্য পুলিশ আধিকারিকরাও।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, দুর্যোগের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে পারে ভবানীপুর ও সংলগ্ন এলাকায়। এদিকে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগের জেরে জনজীবন বিধ্বস্ত হলে তার প্রভাব পড়তে পারে মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাংকে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণেই ভবানীপুর, কালীঘাট, আলিপুর, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর, এই পাঁচটি এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২২টি দলকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা, বিপজ্জনক বাড়ির তালিকা প্রস্তুত, ত্রাণ শিবিরের জন্য পোশাক ও খাবার মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার সহযোগিতায় জল নিকাশি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা, নৌকা ও ক্রেন মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তরফে। একইসঙ্গে রিভার ট্রাফিক পুলিশকেও সতর্ক থাকার পাশাপাশি গঙ্গায় নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাত্রায় জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।