মাত্র এক অর্থবর্ষে সুইস ব্যাংকে জমেছে কালো টাকার পাহাড়। শুধুমাত্র ২০২০তে ভারত থেকে সুইস ব্যাংকে বাড়তি দু’ ট্রিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ অর্থ জমা হয়েছে। প্রতি বছর চুক্তি অনুযায়ী সুইস সরকার ভারতকে তথ্য দেয় তাতে জানা গেছে এই মুহুর্তে ভারত থেকে ভারতীয় নাগরিক ও বিভিন্ন সংস্থা ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন সুইস ভূখন্ডে অবস্থিত ব্যাংকে। অথচ ২০১৯এ এই মোট অর্থ লগ্নির পরিমাণ ছিল ৬৬২৫ কোটি টাকা।
এখানেই প্রশ্ন উঠেছে সরকারের নজরদারির। উল্লেখযোগ্য ভাবে গত অর্থবর্ষে করোনা ও লকডাউন জনিত কারণে ভারতের অর্থনীতি সঙ্কটে। খুচরো ও মাঝারি ব্যবসা মুখ থুবড়ে পরেছে। প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। ঠিক এই পরিস্থিতিতে ফুলে ফেঁপে উঠলেন কারা? অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে খরা, মহামারি বা যুদ্ধ হলে এক ধরনের অসাধু উদ্যোগপতি বাড়তি মুনাফা কামিয়ে নেন। এত কঠিন পরিস্থিতিতেও বাড়তি মুনাফা কামিয়ে তা সুইস ব্যাংকে পাচার করা অসম্ভব নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্র সরকার কি করছে। লোকসভা নির্বাচন ২০১৪-এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিশ্রুতি কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা যে শুধুই ‘কথার কথা’। তা এখন আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই অতিমারীর পরিস্থিতিতে সুইস ব্যাংকে নতুন ভারতীয় গ্রাহকও বেড়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে পুরনো কালো টাকার পাশাপাশি নতুন করে কালো টাকা জমছে সুইস ব্যাংকে।
কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এই তথ্য নিয়ে মোদিকে নিশানা করেছে। কিন্তু দেশের কালো টাকা সুইৎজারল্যান্ডের শৈল শহরের নিরাপত্তায় এভাবেই থেকে যাওয়া থেকে যাচ্ছে। প্রতিবাদ আর প্রতিশ্রুতির ফাঁক গলে আরও নতুন খাতা খুলবে সুইস ব্যাংকে এই সেকেন্ড ওয়েভের সুযোগে।