আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী। মা দুর্গার আরেক রূপ দেবী জগদ্ধাত্রী। জগতের পালিকা, জগতের ধাত্রী তিনি। তাই তাঁর নাম জগদ্ধাত্রী।
দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী দশভুজা। কিন্তু জগদ্ধাত্রী রূপে তিনি সিংহবাহিনী চতুর্ভুজা। তাঁর একহাতে শঙ্খ, একহাতে চক্র, একহাতে ধনুক ও একহাতে বাণ। গলায় নাগ যজ্ঞপোবীত। গায়ের রং সদ্য উদিত সূর্যের মতো।
পুরাণ কথা অনুযায়ী, মহিষাসুর বধ করে দেবী দুর্গা ত্রিলোককে বিপদ মুক্ত করেন, কিন্তু বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার পরেই নাকি দেবতারা অহঙ্কারী হয়ে ওঠেন। তাঁরা ভুলেই যান, দেবী জগদ্ধাত্রীর শক্তিতেই তাঁরা শক্তিমান। বিষয়টি বুঝতে পেরে দেবী ক্ষুন্ন হন এবং সুকৌশলে নিজের মাহাত্ম্য দেবতাদের স্মরণ করিয়ে দিতে তৎপর হন। দেবতাদের অহং নাশ করতে দেবী একখণ্ড তৃণ রেখে অগ্নিকে বলেন সেটি দগ্ধ করতে বলেন। একইসঙ্গে ওই তৃণ স্থানচ্যুত করার নির্দেশ দেন বায়ুকে। কিন্তু অগ্নি এবং বায়ু উভয়েই ব্যর্থ হন। দেবতাদের ভুল ভাঙে। অহং ত্যাগ করে দেবতারা দেবী জগদ্ধাত্রীকে সকল শক্তির শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নেন। সেই থেকেই কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে মা দুর্গা দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে পূজিত হন। কিছু জায়গায় সপ্তমী থেকে দশমীই দেবীর পূজার্চনা হলেও মূলত নবমী তিথিকেই জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল দিন বলে গণ্য করা হয়। বিশেষ করে বাড়ির পুজোর ক্ষেত্রে ওই একদিনেই পরপর তিন ধাপে সপ্তমী থেকে নবমীর পুজো সারা হয়।