সুশ্বেতা ভট্টাচার্য
তাঁকে আনন্দ দেওয়ার জন্যই ঘরের দেওয়ালে একটা বড় ডোনাল ডাকের ছবি টাঙিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু ওই ছবি দেখে তাঁর আনন্দ হত না, উল্টে বিষাদে ভরে উঠত মন। মৃত্যুর কথা মনে হত। আত্মকথনে এমনটাই জানালেন কবীর সুমন।
১১ আগস্ট, বুধবার থেকে ইউটিউবে ধারাবাহিক ভাবে নিজের স্মৃতিকথা বলা শুরু করলেন গানঅলা। নাম দিলেন ‘বেজে ওঠা স্মৃতি’। এদিন তারই প্রথম পর্বে ভক্তদের সঙ্গে তিনি ভাগ করে নিলেন শৈশবের স্মৃতি। সেখানেই শিল্পী বললেন, ‘আমি কাউকে বলিনি। ডোনাল ডাকের ওই ছবিটা দেখলেই মৃত্যুর কথা মনে হত। মনে হত আমি মরে গেছি। খুব কষ্ট হত। একটা সুর তখন বুকের ভিতর বাজত। কাউকে সেই সুর শোনাইনি।’ এদিন তিনি গেয়ে শোনান সেই সুরও।
গান তাঁর রক্তে। বাবা মা দু’জনই রেডিওয় গাইতেন। তাই ছোট থেকেই গান ও সুর-তালের বিষয়ে বেশ বুঝতেন সুমন। এদিন তিনি শেয়ার করলেন মায়ের মুখ থেকে শোনা খুব ছোটবেলার একটা স্মৃতিও। তখনও কথা বলতে শেখেননি, হাঁটতে বা দাঁড়াতেও শেখেননি। তাঁকে কোলে নিয়ে মা গাইতেন নজরুলগীতি, ‘ রিমঝিম রিমঝিম ঝিম, ঘন দেয়া বরষে…।’ সুরটি তাঁর খুব পছন্দের ছিল। এতটাই পছন্দের যে, মা অন্য গান গাইলেই চিৎকার শুরু করতেন। তখন বাধ্য হয়ে মা ওই গানটি গাইতেন, নয়তো যে গানটি গাইছেন, সেটির সুর-তাল ওই গানটির মত করে গেয়ে কোলের ছেলেকে শান্ত করতেন।
বাবার কর্মসূত্রে ওড়িশার কটক শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠার নানা ছোট ছোট কাহিনির পাশাপাশি সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবীর সুমন হওয়ার স্মৃতিতেও এদিন সযত্নে হাত বোলান গানঅলা।