Sambad Samakal

চামড়ার ফাটা দাগ দ্রুত মুছবেন কীভাবে? জানালেন কেয়া শেঠ

Jun 10, 2021 @ 5:53 pm
চামড়ার ফাটা দাগ দ্রুত মুছবেন কীভাবে? জানালেন কেয়া শেঠ

স্ট্রেচ মার্কস বা চামড়ার ফাটা দাগ মানুষের জীবনের অন্যতম একটি সমস্যা। শুধু যে মা হতে গিয়েই শরীরে স্ট্রেচ মার্কস পড়ে, তা কিন্তু নয়। হঠাৎ করে রোগা থেকে মোটা, বা মোটা থেকে রোগা হয়ে গেলেও চামড়া কুঁচকে গিয়ে স্ট্রেচ মার্কস তৈরি হয়। তা সে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে, যা সৌন্দর্যহানির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী ভাবে মুক্তি মিলবে এই স্ট্রেচ মার্কসের সমস্যা থেকে। পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ।

স্ট্রেচ মার্কস বা ফাটা দাগ কাটাতে শরীরে পর্যাপ্ত আদ্রতা ধরে রাখা ও যথাযথ রক্ত সঞ্চালন খুবই প্রয়োজনীয়। এর জন্য মেনে চলতে হবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম।

১) প্রথমেই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কেয়া। তিনি জানান, অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি জল আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং স্ট্রেচ মার্কস তৈরি হতে বাধা দেয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় অনেক মহিলাই বেশি জল খেতে পারেন না। অথচ এই সময়ই স্ট্রেচ মার্কস পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে গ্রিন টি বা ক্যাফাইনমুক্ত কোনাও পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কেয়া। শুধু পানীয়ই নয়, জলের পরিমাণ বেশি থাকে এমন ফল, যেমন- শশা, তরমুজ, স্ট্রবেরি, ডাবও খাওয়া যেতে পারে।

২) স্ট্রেচ মার্কস আটকাতে ভিটামিনের একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ভিটামিন এ, ই এবং সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন এ ত্বক মেরামত করে। ভিটামিন ই স্কিনের মেমব্রেনকে অটুট রাখে। আর ভিটামিন সি কোলাজেন এবং স্কিনের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

৩) গর্ভবতী অবস্থায় বেশিরভাগ মহিলারই স্কিনের উজ্জ্বলতা চলে যায়। আবার কর্মব্যস্ত জীবনে অত্যধিক বাইরে ঘোরাঘুরির জেরেও হারিয়ে যায় ত্বকের জেল্লা। এই অবস্থায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কেয়া শেঠ। তাঁর কথায়, খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত পালংশাক, স্ট্রবেরি, বাদাম, গাজর, রাঙা আলু, আম এবং ডিম।

৪) ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে নিয়মিত ম্যাসাজ ও ময়শ্চারাইজার লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশিষ্ট এই রূপটান বিশেষজ্ঞ। তবে গর্ভাবস্থায় বাজারচলতি ময়শ্চার না লাগিয়ে তিল তেল, নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে দিনে দুবার হালকা করে ম্যাসাজের পরামর্শ দিচ্ছেন কেয়া শেঠ।

৫) এছাড়াও স্কিনের ওপর ড্রাই ব্রাশিং বা লুফা ব্যবহার করে ত্বকের ডেড সেল দূর করতে হবে। এতে নতুন কোষ তৈরি হবে এবং ত্বকে রক্ত চলাচলও বাড়বে, যা সহজেই রুখে দেবে স্ট্রেচ মার্কস।

৬) রক্ত চলাচল ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করাও জরুরি। এতে স্কিনের নমনীয়তা বাড়ে, রক্ত চলাচল বাড়ে এবং শরীরে বেশি করে অক্সিজেন সঞ্চারিত হয়। তবে গর্ভকালীন অবস্থায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে হবে বলে জানান কেয়া।

৭) শরীরে স্ট্রেচ মার্কস দেখা গেলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। স্ট্রেচ মার্কস যখন গোলাপি বা লাল অবস্থায় আছে, তখনই তা সারিয়ে ফেলার চেষ্টা শুরু করে দিতে হবে।

Related Articles