হকাররা পিচরাস্তা বা ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশের অনেক বেশি দখল করে থাকলে এবার সরাসরি অভিযোগ জানতে পারবেন কলকাতার সাধারণ নাগরিকরা। পুরসভার ওয়েবসাইটে এই অভিযোগ জানানো যাবে। শহরের ফুটপাত পথচারীকে ফেরত দিতে ফের তৎপর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে নয়া হকার নীতি চালুর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।
শুক্রবার টাউন ভেন্ডিং কমিটির সভায় কমিটির অন্যতম সদস্য ও হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা শক্তিমান ঘোষ পুরসভার নীতি সমর্থন করেন। বলেন, “ফুটপাতের তিনভাগের দু’ভাগ না ছেড়ে দিলে স্টলে ক্রেতারা আসবেন কীভাবে ? তাই কলকাতায় এক তৃতীয়াংশ ফুটপাতেই হকিং করতে হবে হকার ভাইদের।” বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ফুটপাতের দুই তৃতীয়াংশ ছাড়ার পাশাপাশি শহরের কোনও পিচ রাস্তায় হকাররা বসবেন না। অগ্নিকাণ্ড রুখতে স্টলের মাথায় কালো প্লাস্টিক টাঙানো যাবে না বলে কড়া নীতির কথা জানান কমিটির কো।চেয়ারম্যান মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। শুধু তাই নয়, গড়িয়াহাট, হাজরা, হাতিবাগান, ধর্মতলা, বিবাদী বাগের মতো শহরের ৫৮টি গুরুত্বপূর্ণ মোড় থেকে চারদিকে ৫০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা ফাঁকা রাখতেই হবে। শক্তিমান বলেন, চিহ্নিত ৫৮টি মোড় ও ফুটপাত দুই তৃতীয়াংশ ফাঁকা রাখতে হকার ইউনিয়ন পুলিশ ও পুরসভাকে সাহায্য করবে।
পুলিশের সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৬০ হাজার হকার আছে শহরে। ঠিক হয়েছে, ২০১৮ সালের সমীক্ষার তথ্য পুরসভার ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। সাতদিনের মধ্যে যে কেউ ওই তথ্য দেখে আপত্তি বা সংশোধনের সুযোগ পাবেন। দেবাশিস কুমার জানান,“তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সমস্ত হকারকেই কোন রাস্তায় কোথায় বসে হকিং করে তা নিয়ে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।”