বৃহস্পতিবারের মোদি বিরোধী বিক্ষোভের আঁচে শুক্রবারও উত্তপ্ত হল বাংলাদেশ। এদিন সকালে জুম্মার নমাজের পরই মোদি বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম। শাসকদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মোদি বিরোধীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। দুপুর পর্যন্ত হামলা-পালটা হামলার অভিযোগে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। আর এরই মধ্যে এদিন সকালেই বাংলাদেশ পৌঁচন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তাঁকে নিয়ে বিরোধিতা বা বিক্ষোভে অবশ্য আমল দিতে নারাজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বন্ধু বাংলাদেশের মন পেতে নিজস্ব কৌশলেই গুছিয়ে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দেশের সফরকালীন কর্মসূচি। এদিন শেখ হাসিনার দেশকে ১২ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিন উপহার দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাংলাদেশ পৌঁছনোর পরই দূতাবাসের তরফে এই খবর জানানো হয়।
দু-দিনের এই বাংলাদেশ সফরে এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছন মোদি। শাহজালাল বিমানবন্দরে তাঁর বিশেষ বিমান অবতরণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার জানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেখান থেকে মোদি সোজা চলে যান জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের পর নীরবতা পালন করেন। রোপন করেন একটি অর্জুন গাছের চারা।
বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এই সফরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে যাবেন মোদি। যাবেন ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের তীর্থক্ষেত্রেও। এই সফরে দুদেশের মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মউ সাক্ষরিত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।