রাজ্যে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের পর কেটে গিয়েছে দুমাস। নিয়ম অনুযায়ী, সরকার গঠনের ছয়মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিততে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই মতো রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে উপনির্বাচনের দাবিও জানানো হয়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কথা তুলে উপনির্বাচনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। তাঁদের যুক্তি, এই সময় ভোট হলে ফের বাড়বে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার পাল্টা যুক্তি দিতে উপনির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, ভবানীপুর এখন কোভিড শূন্য, তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কোনও বাধা নেই।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র মোট ওয়ার্ড আটটি। পরিসংখ্যান বলছে, তার মধ্যে সিংহভাগ ওয়ার্ডই কোভিড শূন্য। গত বেশ কিছুদিনের রিপোর্ট বলছে, দু একটি ওয়ার্ডে বহুদিন পরপর কখনও কখনও একটি করে করোনা রোগীর সন্ধান মিললেও তা এতটাই হিসাবে আসে না। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেই এদিন উপনির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেন মমতা।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর থেকেই উপনির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা মমতার। এই কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি উপনির্বাচনে খড়দা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন। জয়ের রেজাল্ট বেরোনোর আগেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে এই কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। এছাড়াও রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জয়ী বিধায়কের মৃত্যুতে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে।