করোনা কালে অন্যের সংস্পর্শে আসার ঝামেলা নেই। দৈনন্দিন ব্যস্ততায় আলাদা করে সময় বের করে দোকানে গিয়ে আধার তথ্য দাখিল করার ঝক্কিও নেই। এবার বাড়িতে বসেই আপনি পেতে পারেন মোবাইল বা ইন্টারনেটের নতুন সংযোগ। সহজ কিছু ধাপে কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ করেই এই সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করল কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় যোগযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কাছে বিশ্বমানের ইন্টারনেট ও টেলি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া টেলিকম সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্য পূরণে যোগাযোগ মন্ত্রকের টেলি যোগাযোগ দফতর ২১সেপ্টেম্বর সহজভাবে কেওয়াইসি পূরণ করার পদ্ধতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ১৫ই সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে একজন গ্রাহক তাঁর গ্রাহক পরিচিতি ব্যবস্থাপনা বা ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ (কেওয়াইসি) ফর্ম পূরণের জন্য টেলিকম সংস্থার বিক্রয় কেন্দ্রে যান। সেখানে নতুন মোবাইলের সংযোগ বা প্রিপেড থেকে পোস্টপেড এবং পোস্টপেড থেকে প্রিপেড পরিবর্তনের জন্য মূল নথিপত্র নিয়ে যেতে হয়। সেগুলি সেখানে যাচাই করা হয়।
কিন্তু সম্প্রতি অনলাইন পরিষেবা একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। ওটিপি-র মাধ্যমে গ্রাহক পরিষেবা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। কোভিডের সময়কালে সংস্পর্শহীন পরিষেবা নিশ্চিত করতে এবং সহজে ব্যবসার কাজে গতি আনতে এই প্রক্রিয়াটিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
ইউআইডিএআই থেকে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে গ্রাহকের বিষয়ে আধারের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকের সম্মতি বাধ্যতামূলক।
টেলি যোগাযোগ দফতর সংস্পর্শহীন, গ্রাহক বান্ধব এবং নিরাপদ কেওয়াইসি পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে।
১. আধার ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি: নতুন মোবাইলের সংযোগের জন্য আধার ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া আবারও শুরু হয়েছে। ইউআইডিএআই গ্রাহকদের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় টেলিকম সংস্থাগুলির কাছ থেকে মাথাপিছু ১ টাকা করে মাশুল নেয়। সংস্পর্শহীন ডিজিটাল এই পদ্ধতিতে টেলি যোগাযোগ সংস্থাগুলিকে ছবি সহ আধারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়।
২. সেল্ফ কেওয়াইসি: এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে মোবাইল সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে অ্যাপ বা পোর্টালের সাহায্য নিতে হয়। একজন গ্রাহক বাড়িতে বা অফিসে বসে অনলাইনে নতুন মোবাইল সংযোগ পেতে পারেন। তাঁর আধার সংক্রান্ত নথিপত্র ইউআইডিএআই অথবা ডিজি লকারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় যাচাই করা হবে। গ্রাহক বাড়িতে বসেই নতুন সিম কার্ড পাবেন।
৩. ওটিপি ভিত্তিক পরিষেবা: একজন গ্রাহক প্রিপেড থেকে পোস্টপেড অথবা পোস্টপেড থেকে প্রিপেডে সিমকার্ড পরিবর্তন করতে চাইলে তিনি বাড়িতে বসেই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তথ্য যাচাইয়ের কাজটি ওটিপি মারফৎ হবে।
টেলি যোগাযোগ দফতরের ওয়েবসাইটে এই আদেশনামাটি দেওয়া রয়েছে। এটি দেখতে চাইলে নীচের লিংকে ক্লিক করুনঃ-
https://dot.gov.in/relatedlinks/telecom-reforms-2021