সুশ্বেতা ভট্টাচার্য
পূজারীর ছদ্মবেশে ভক্ত প্রতারণা রুখতে পুরীর শ্রীমন্দিরে সেবায়েতদের পোশাকবিধি চালু হচ্ছে। কোজাগরি লক্ষীপুজোর পরই পরিচালন কমিটির সিদ্ধান্ত, মন্দিরের গর্ভগৃহে এবং পুজোর জন্য যে সেবায়েতরা আসবেন, তাঁদের ধুতি, পটবস্ত্র পরতে হবে এবং সঙ্গে থাকতে হবে গামছা। শুধু তাই নয়, মন্দিরের ভিতরে সেবায়েত যতক্ষণ থাকবেন, ততক্ষণ সরকার অনুমোদিত সচিত্র পরিচয়পত্র গলায় ঝোলানা থাকা বাধ্যতামূলক। শ্রীমন্দিরের নিজস্ব কর্মচারীদের ধুতির সঙ্গে সাদা শার্ট ও কাঁধে লোগো দেওয়া ব্যাজ এবং সচিত্র পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
মন্দিরের প্রশাসকের দফতর সূত্রে খবর, বহু অসেবায়েত নিজেদের পূজারী বলে দাবি করে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে নিজেদের পুরোহিত বলে জহির করছেন। আর না জেনেই পূজারী না হওয়া সত্ত্বেও এই ছদ্মবেশীদের মাধ্যমেই মহাপ্রভুর জন্য অর্ঘ্য নিবেদন করে কার্যত প্রতারিত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। রবিবার কলকাতা থেকে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে শ্রীমন্দিরের অন্যতম প্রধান দৈত্যাপতি জগন্নাথ সোয়াইন বলেন, “শ্রীমন্দিরের পুজোর রীতি ও আচরণ মানছেন না অনেক কমবয়সী সেবায়েত। এমনকী, তাঁরা প্যান্ট-শার্ট, জিন্স পরেও ঢুকে পড়ছেন। বিগ্রহের কাছে যাওয়া ও বন্দনার ক্ষেত্রে তাই পৌরাণিক ও ধর্মীয় অনুষঙ্গ রেখে ধুতি-পটবস্ত্রের পোশাকবিধি চালু করা হচ্ছে।
টেলিফোনে আরেক পূজারী বলেন, “যাদের পুজোর অধিকার নেই, তাঁরাও মন্দিরে এসে ভক্তদের ঠকিয়ে পূজারী সাজছেন। পোশাক বিধি চালু হলে ভক্তরা সঠিক ব্যক্তির হাত দিয়ে পুজো দিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।”