নন্দীগ্রাম মামলা শুনানি শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এর মধ্যেই অন্যত্র এই মামলা সরানোর দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পক্ষে নিরপেক্ষ শুনানি সম্ভব নয়। তাঁর উপর চাপ আসতে পারে। তাই ভিন রাজ্যের কোনও আদালতে এই মামলা সরানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে, এদিন বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা গ্রহণ করে বিচারপতি নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন, মামলার রায় না বেরোনো অবধি নন্দীগ্রাম ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, ভিডিও এবং ইভিএম সংরক্ষিত রাখতে হবে। এ বিষয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অগাস্ট। পাশাপাশি এদিন এই মামলায় সমস্ত পার্টিকে নোটিশ পাঠাল আদালত।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করেছেন রেজিস্টার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী পিটিশনে কোনও ত্রুটি নেই। এরপর নন্দীগ্রাম মামলা গ্রহণ করে আদালত।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি বিজেপি-ঘনিষ্ঠ অভিযোগ তুলে অন্য বিচারপতির এজলাসে মামলা চালানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দীর্ঘ টালবাহানার পর নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তবে বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন তিনি। এবার ফের সেই একই পথে হেঁটে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।