টানা এক সপ্তাহ বৃষ্টি হয়েও বিরাম নেই। আজ রবিবারও উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গেই ভারী বৃষ্টিপাত হবে। তবে আগামিকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশে একটি নিম্নচাপ রয়েছে। পঞ্জাব থেকে সেই নিম্নচাপ অক্ষরেখা বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত, যা গিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে। আবার বাংলাদেশ সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই জোড়া ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি বায়ু- দুইয়ের প্রভাবে চলছে বৃষ্টিপাত।
আজ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
তবে আগামিকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও আগামী সপ্তাহেও হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে এদিন সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি কম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭ মিলিমিটার।
আজ রবিবার কোন জেলায় কেমন বৃষ্টি হবে, একনজরে-
অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দার্জিলিং জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায়। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গের কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে।
কোথায় কত বৃষ্টিপাত হয়েছে?
বর্ষার বৃষ্টি জুন মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ১০৬ শতাংশ বেশি হয়েছে। গোটা রাজ্যে ৫১ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রাজ্যের নিরিখে সিকিমের থেকে এগিয়ে বাংলা। সিকিমে ৩৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের থেকে ৫১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
জেলার ক্ষেত্রে বাঁকুড়াতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের থেকে ২৪১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তারপরেই আছে বর্ধমান ১৯৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত এবং জেলার নিরিখে তিন নম্বরে কলকাতায় ১০৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে জুন মাসের এই কদিনে।