কেটে গিয়েছে প্রায় ২০ মাস। করোনা অতিমারীর মধ্যেই পথ চলার শুরুতেই এক অন্য জগৎ দেখেছে রাজ্যের অন্যতম পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়ারা ভর্তি হলেও কোভিড বিধির কারণে অফলাইন ক্লাস চালু করা যায়নি ব্যারাকপুর বড় কাঠালিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল ক্যাম্পাস। অনলাইন ক্লাসেই শান্ত থাকতে হয়েছে শিক্ষক -পড়ুয়া, দু’পক্ষকেই। ফলে ছাত্র-শিক্ষক পরিচয়ই নিবিড়ভাবে গড়ে ওঠেনি। সহপাঠীরা নিউনর্মালে থাকায় উষ্ণতা আসেনি পড়ুয়াদের মধ্যে। এবার করোনা কাঁটা সরে গিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চালুর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই তাই খুশির হাওয়া স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক মহলে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলতেই স্টুডেন্টস ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করেছে স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৬ ও ১৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবের মেজাজেই এই প্রথমবার পরস্পর পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে পরিচয়পর্ব সম্পন্ন করেন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। অভিভাবকদের অংশগ্রহণও ছিল উল্লেখ করার মতো। একই বেঞ্চে দূরত্ব বিধি মেনে ক্লাসও শুরু করলেন পড়ুয়ারা।
স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধার ড. নন্দন গুপ্তর নির্দেশে পর পর দু’দিন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ‘স্টুডেন্টস ওরিয়েন্টশন’ কর্মসূচি আয়োজিত হল। গড়ে প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়া অংশ নিয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স, এমবিএ, বিবিএ, ব্যাচেলর অফ মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, এগ্রিকালচার ও হেলথ সায়েন্সের মতো নানা কোর্সে। জেলার পড়ুয়াদের জন্য হস্টেল ও অন্যান্য সহায়ক ব্যবস্থাও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা হচ্ছে।
উপচার্য ড. সুব্রত কুমার দে জানান, “কোর্সগুলিতে মর্ডান সিলেবাস মেনে পঠন-পাঠনের পাশাপাশি কোভিড সচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো হয়েছে।” হষ্টেল থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা ও মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইও সৌরভ অধিকারী। ক্লাস ও কোর্সের নানা দিক বুঝিয়ে দিচ্ছেন অধ্যাপক ও আধিকারিকরা।