সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে দেশজুড়ে টিকাকরণ করিয়ে রেকর্ড করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। আর বিশেষ ওই দিনের জন্য ভ্যাকসিন মজুত করতে গিয়ে বাংলা সহ অন্য রাজ্যগুলিকে সংকটের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় টিকার আকাল প্রসঙ্গে নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে সোমবার বিস্ফোরক এই অভিযোগ করলেন কলকাতার মুখ্য পুর প্রশাসক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিন ফিরহাদ বলেন, “শুনেছি, কোনও একজনের আসন্ন জন্মদিনে নাকি রেকর্ড টিকাকরণ করিয়ে তাঁকে খুশি করা হবে। তাই এখন বাংলাকে বরাদ্দ না দিয়ে টিকা মজুত করা হচ্ছে। যে সমস্ত মানুষের ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পাওনা হয়েছে তাঁদের টিকাকরণ না করিয়ে, জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কোনও ব্যক্তি বিশেষের জন্মদিনে উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ভাঁড়ার শূন্য হওয়ার কারণে সোমবার থেকে কলকাতা পুরসভায় কোভ্যাকসিন টিকা দেওয়া বন্ধ ছিল। রবিবার রাতেই পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুব্রত রায় চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তলানিতে কোভিশিল্ডের স্টকও। নতুন করে ভ্যাকসিন না এলে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে যাবে কোভিশিল্ড টিকাও। সোমবার মুখ্য পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানালেন, “অনেক অনুরোধ করে মাত্র ৯ হাজার কোভ্যাক্সিন ও ১৫ হাজার কোভিশিল্ড টিকা দিয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে মঙ্গলবার কোনওক্রমে শহরে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে, কাল ফের যদি কেন্দ্র টিকা না পাঠায় তবে দু-তিনদিনের জন্য কলকাতায় টিকাকরণ বন্ধ রাখতে হবে।”
ফিরহাদের অভিযোগ, “বাংলাকে টিকার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে যে সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভোট আছে সেখানেই করোনার টিকা পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পায়নি, তাই এই রাজ্যের মানুষকে দুর্ভোগ-অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়ে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতে সমস্ত ভ্যাকসিন নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।” তিনি বলেন, “টিকা নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের সঙ্গে ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।”
তথ্য দিয়ে পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক বলেন, এখনও কোভ্যাক্সিনের ২৭ হাজার ৯৮৭ এবং কোভিশিল্ডের ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৩ জনের টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওনা আছে। সময়ে ভ্যাকসিন পেলে মাত্র দু’দিন সমস্ত বকেয়া টিকাকরণ মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।