সোমনাথ লাহা
বড় পর্দায় সাতের দশকে আবির্ভাব ঘটেছিল রহস্যভেদী ব্যারিস্টার পি কে বাসুর। সেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমার। নারায়ণ সান্যালের কাহিনি ‘নাগচম্পা’ অবলম্বন তৈরি হয়েছিল বাংলা ছবি ‘যদি জানতেম’। এবার নারায়ণ সান্যালের সেই ‘কাঁটা’ সিরিজ নিয়েই আসতে চলেছে ওয়েব সিরিজ।
টলিউডের অন্যতম নামী প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত এই সিরিজের পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ‘সোনার কাঁটা’ অবলম্বনে নির্মিত এই ওয়েব সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। ফেলুদা, ব্যোমকেশের থেকে পি কে বাসুর রহস্য সমাধান করার বিষয়টি অনেকটাই আলাদা। এক্ষেত্রে তার প্রিয় পাত্র কৌশিক যেমন রহস্য সমাধান করে, তেমন সঙ্গে থাকে সুজাতাও। এমনকী, রানি বসুর চরিত্রটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এসবেরই মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে এই সিরিজ।
শোনা যাচ্ছে, এবার পি কে বাসুর চরিত্রে দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে। রানি বসুর চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে। তবে কিছু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ১৯৭৪-এ পি কে বাসুর চরিত্রে উত্তমকুমার অভিনীত ‘যদি জানতেম’-এর পরে টলিউডে এই চরিত্রটিকে নিয়ে প্রথম সারির এক পরিচালক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এমনকী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। তবে কোনওটিই শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। তাই ওয়েব সিরিজ হিসেবে ‘কাঁটা’-কেই দেখতে চলেছে নতুন প্রজন্ম।
তবে টালিগঞ্জে নতুন গোয়েন্দার আগমন ঘটলেই তার গল্পের সত্ত্ব নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায়। ব্যোমকেশ বক্সী হিসেবে দর্শকরা দেখেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। এই শীতে ফেলুদা নিয়ে দুই প্রযোজনা সংস্থার লড়াই চোখে পড়েছে সকলের। তবে ‘কাঁটা’ সিরিজ নিয়ে আপাতত একজন প্রযোজকই কাজ করছেন। এখনও তাই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ভবিষ্যতে কী হবে, তার উত্তর জানা নেই। তবে পি কে বাসুকে ওয়েব আঙিনায় দেখার জন্য দর্শকরা মুখিয়ে থাকবেন তা বলাই যায়।