অনেকদিন সুগার টেস্ট করাচ্ছেন না, অথচ সুগারের ওষুধ খেয়ে যাচ্ছেন? চুড়ান্ত অবিবেচনার কাজ এটি। নিয়ম করে প্রতি তিন মাস অন্তর খালি পেটে ফাস্টিং ব্লাড সুগার, খাওয়ার দু’ ঘন্টা পর বা পোস্টপ্রান্ডিয়াল ব্লাড সুগার টেস্ট, তিন মাসের গড় এইচবিএওয়ানসি এবং সেই সঙ্গে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করান। নিয়মিত পরীক্ষা না করলে সুগার নিয়ন্ত্রণ করা বেশ শক্ত।
বয়স যদি ৪০ পেরিয়ে যায় তাহলে বছরে একবার ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করাতে হবে। এছাড়াও নিয়ম করে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে। প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন বেরিয়ে গিয়ে কিডনির সমস্যা তৈরি করছে কিনা তা বুঝতে প্রতি তিন থেকে ছ’ মাসে একবার পরীক্ষা করতে হবে। তাই শুধু খালি পেটে আর পিপিবিএস পরীক্ষাই যথেষ্ট নয়।
অনেকে সুগার পরীক্ষা না করিয়ে একই ওষুধ টানা খেয়ে যান। এটি মারাত্মক ভুল। একই ওষুধ টানা খেয়ে গেলে অনেক সময় তার কার্যকারিতা হারায়। অনেকের আবার সুগার বিপদসীমার নীচেও নেমে যায়। তাই কোনো রকম পরীক্ষা না করে ওষুধ খেয়ে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। নজরদারি কঠোর করলেই মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে থাকে।