রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ চার হেভিওয়েটের গ্রেফতারির দিন নিজাম প্যালেসে সাধারণ মানুষ স্বতস্ফুর্ত প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রাজনৈতিক কোনও চাপ সৃষ্টির কৌশল নয়, এটা ছিল মানুষের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সিবিআইয়ের আনা চাপ সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ উড়িয়ে বুধবার আদালতে একথা বলেন ধৃত চার হেভিওয়েটের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওইদিন নিজাম প্যালেসে পৌঁছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তদন্তে কোনও চাপ সৃষ্টি করেননি। এমনকী, সিবিআইআইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ আনলেও তিনি আগের দিন শুনানির সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না। তাই তদন্ত প্রভাবিত করার প্রশ্নই ওঠে না।’
হাইকোর্টে এদিন মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগে সরব হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই অভিযোগে সিবিআইয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা নারদ মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরিত করার আর্জিও জানান আদালতে। তারই প্রতিবাদ করে পাল্টা সওয়াল করেন সিংভি। পাশাপাশি আদালতকে তিনি জানান, অভিযুক্তরা ২০১১ সাল থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী। এতদিন তাঁরা মামলাকে প্রভাবিত না করে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে আজ হঠাৎ গ্রেফতারের প্রয়োজন পড়ছে কেন? যেখানে এই করোনা কালে আদালত ভয়ঙ্কর অপরাধ ছাড়া কাউকেই গ্রেফতার করতে না করছে?