Sambad Samakal

Sex racket: ৩১-এর তরুণী মায়ের হাত ধরেই মধুচক্রে ১৪-র নাবালিকা!

Aug 1, 2021 @ 2:15 pm
Sex racket: ৩১-এর তরুণী মায়ের হাত ধরেই মধুচক্রে ১৪-র নাবালিকা!

অন্তর্তদন্তর দ্বিতীয় কিস্তি লিখছেন শোভনলাল রাহা

ছিপছিপে চেহারায় ঠিকড়ে পড়ছে জৌলুষ। বাদামী গায়ের রঙ, চোখ দুটো কামনা মদির, হাসলে দু’গালে টোল পরে। নাভি থেকে বেশ খানিকটা নামিয়ে, কোমরের ভাঁজ দেখিয়ে শিফনের শাড়ি পরে। বছর ৩১-এর স্বামী পরিত্যক্তা এমন তরুণীই চক্রের মূল পাণ্ডা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। মধুচক্রের এই মক্ষীরানির এমন টান যে কোর্টে তোলার আগে আদালত চত্বর আলো করে রেখেছিল। ঘুরতে ফিরতে আদালত চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকজন, সবাই সেক্সি-ডলকে চোখ দিয়ে চেটে চেটে স্বাদ নিচ্ছিল।
রাজেন্দ্রপুরে যে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই নাবালিকা সহ ২৩ জন, অ্যাসবেসটসের ছাউনি দেওয়া দোতলা সেই বাড়ির মালকিনও তিনিই। মধুমক্ষীদের কাছে সুইটি (নাম পরিবর্তিত) নামেই খ্যাতি। দূর দূরান্ত থেকে আসা মহিলাদের কাউকে নার্সিং, কাউকে আয়া, কাউকে বা ছোটখাটো কোনও কারখানায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে প্রথমে কাছে টানেন। তারপর একের পর এক টোপ দিয়ে টেনে নিয়ে যান পৃথিবীর আদিমতম পেশার আঁতুরঘরে। সুইটির হাত ধরে গত কয়েক বছরে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বহু গৃহবধূ এবং কিশোরী গোপনে সোনাগাছি বা কালীঘাটের নিষিদ্ধপল্লীতে পৌঁছে গিয়েছে । দু-তিনজন তো আবার মডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখে মুম্বই পাড়ি দিয়েছে, হারিয়ে গেছে আরব সাগরের তীরে।
মধুশালার মক্ষিরানীকে ঘিরে আড়কাঠিদের উৎসাহের অন্ত নেই। সারাদিনই তাঁর বাড়িতে অবাধ যাতায়াত রাজনৈতিক দাদাদেরও। কখনও কখনও তাঁদের হাত ধরে ঘর পর্যন্ত পৌঁছে যায় দামি খদ্দেরও। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া কিশোরী-তরুণী যৌনকর্মীদের আশপাশের হোটেল ও বার কাম রেস্টুরেন্টে সাপ্লাই দেওয়াই তাঁর মূল কাজ। রাজেন্দ্রপুরের এই তরুণীর বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ যাঁদের উদ্ধার করেছে, সেই তালিকায় রয়েছেন বছর উনিশের সদ্য মা হওয়া এক তন্বী এবং ১৪ বছরের নাবালিকাও। বিস্ফোরক তথ্য হল, দু’জনেই মক্ষীরানী সুইটির গর্ভজাত সন্তান। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসতেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে মুখে মুখে ঘুরছে নানা প্রশ্ন।
মায়ের মধুচক্রের কারবার থেকে রেহাই পেল না গর্ভজাত সন্তানরাও ? নিজে কীভাবে মেয়েদেরও নামালেন এসকর্ট সার্ভিসে? শুধুই কি অর্থের লালসা? নাকি পুরুষজাতির প্রতি একরাশ ঘেন্না? নেপথ্যে কি স্বামীর সংসারে অত্যাচারিত হওয়ার, বদলা নেওয়ার জ্বলন্ত কাহিনি? জেরায় সেই তথ্যের অনুসন্ধান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ কর্তারা মনে করছেন, হোমে থাকা ১৪ বছরের নাবালিকা আদালতে সত্যি কাহিনি তুলে ধরে জবানবন্দি দিলেই স্পষ্ট হবে অনেক কিছুই। কিন্তু মায়ের বিরুদ্ধে কি আদৌ কিশোরী জবানবন্দি দেবে?
১৯ বছরের যুবতী, কোলে সদ্যজাত সন্তান। মাথায় নেই সিঁদুরের রেখা। তাহলে ওই সন্তানের বাবা কে ? সেও কি কোনও খদ্দেরের লালসার ফসল? শুধু এক মক্ষীরানির পক্ষে কি এত বড় মধুচক্র চালানো সম্ভব? নাকি নেপথ্যে সুইটির মাথায় রয়েছে কোনও বড় প্রভাবশালীর হাত?
(এরপর তৃতীয় কিস্তিতে)

Related Articles