বুধবার মিনি সুন্দরবনে গিয়ে গ্রামের বাড়িতে পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেশনের ‘মোটা চালের’ ভাতের সঙ্গে ট্যাংরা মাছের ঝোল দিয়ে খাওয়ার সময়ে তাঁকে উষ্ণ আন্তরিকতায় ঘিরে রেখেছিলেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। আর সেখানেই রেশনের চাল নিয়ে ‘অপ্রিয় প্রশ্ন’ করে প্রশাসনিক কর্তাদের অপ্রস্তুত করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দুপুরে খাওয়ার পরে, বাড়ির মহিলাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “চালটা এত শক্ত কেন? এরকম মোটা চালই কি আপনারা পান?” উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান, রেশনে এই ‘মোটা চাল’ই বরাদ্দ তাঁদের জন্য। একথা শোনার পরেই উপস্থিত মুখ্যসচিব সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। নির্দেশ দেন, রেশনের চালের মান আরও উন্নত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরাসরি রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে চাল কিনে গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহের কাজ শুরু করেছিল মমতা সরকার। আর এই কাজের জন্য প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে ভর্তুকিও দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কেনা চাল পাঠায় মোদি সরকারও। কিন্তু সেই রেশনের চালের গুণমান নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। স্বয়ং মমতার হস্তক্ষেপের পরে রাজ্যের গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ রেশনের ‘মোটা চালে’র গুণমান কি উন্নত হবে? টনক কি নড়বে আমলাদের? উত্তর দেবে সময়ই।