মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ভাষা শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করল কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন। এদিন সকালে প্রথমে উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে শহিদবেদিতে মাল্যদান ও এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়। এরপরে পার্ক সার্কাসের ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র’ থেকে একটি প্রভাতফেরি শুরু হয়। স্থানীয় বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে উপ-হাইকমিশন চত্বরে তা শেষ হয়। কলকাতার বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, লেখক, বুদ্ধিজীবীরা এই প্রভাতফেরিতে সামিল হন। শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বার্তাও পাঠ করা হয়।
এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্বরে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখেন ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের লড়াইয়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।” এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথাও তিনি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
এদিনের সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর ও একুশে পদকজয়ী মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী আব্রাহান লিংকন। কলকাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা সভায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।