সুশ্বেতা ভট্টাচার্য
খ্যাতনামা বাচিক শিল্পী প্রয়াত প্রদীপ ঘোষকে নিয়ে তৈরি হল এক অভিনব তথ্যচিত্র। সুযোগ্য কন্যা ড. পৃথা ঘোষ সেনের উদ্যোগে রবিবার প্রদীপ ঘোষের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে নন্দন ৩-এ “আকাশ প্রদীপ” নামে এই বিশেষ তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হল।
ড. পৃথা ঘোষ সেনের প্রযোজনায় দেবযানী আইচ নির্দেশিত এই তথ্যচিত্রে প্রখ্যাত বাচিক শিল্পীর স্মৃতিচারণ করেছেন বাংলা সংস্কৃতি জগতের দিকপাল প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বরা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কবি জয় গোস্বামী, কবি সুবোধ সরকার, বাচিক শিল্পী বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, প্রণতি ঠাকুর, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপল কুন্ডু, সুমন্ত্র সেনগুপ্ত, রজত বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট আবৃত্তিকার শাহাদাত হোসেন নিপু প্রমুখ। সহকর্মী হিসেবে একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন আশিষ চক্রবর্তী, কমল মজুমদার ও কৌস্তভ তরফদার। শুধু বাবা নন, বাচিক শিক্ষকের ভুমিকায় কেমন ছিলেন প্রদীপ ঘোষ, সেই স্মৃতির অতলে ডুব দিয়েছেন মেয়ে পৃথা ও বাণীচক্রের ছাত্রছাত্রীরা।
রবিবার এই অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেছে কবি সুবোধ সরকার সহ বিশিষ্টদের উপস্থিতি। ছিলেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণতি ঠাকুর, উর্মিমালা বসু, বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, ড. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়। তাঁদের স্মৃতিচারণায়
মৃত্যুর দু’বছর পরেও পিন পতন স্তব্ধতায় প্রেক্ষাগৃহে যেন আরও একবার জীবন্ত হয়ে ওঠেন বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ।
মেয়ে ড. পৃথা ঘোষ সেন বলেন, “২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর বাবাকে হারিয়েছি। তিনি শুধু একজন পিতাই ছিলেন না, ছিলেন আমার পরম সুহৃদ, সহমর্মী, সমব্যথী বন্ধু। কালের নিয়মে তিনি চলে গেলেও, বর্তমান ও আগামীর জন্য তাঁর ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। তাঁকে নিয়ে নির্মিত এই তথ্যচিত্র সেই চেষ্টারই একটা অংশ। কাজের মধ্যে দিয়েই যিনি মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন, আমার মনে হয় সেই কাজের স্মরণই তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রেষ্ঠ পথ।”