সংবাদ সমকাল প্রতিবেদন: ফুরফুরার ভাইজানের চাপের মুখে অবশেষ মাথা নোয়াতে হল কংগ্রেসকে। আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-কে আট আসন ছাড়তে রাজি হল কংগ্রেস। আর তারপরই জোটের রফা চূড়ান্ত বলে দাবি করেছে বাম-কংগ্রেস দু-পক্ষই। বেশ কিছুটা নরম সুর শোনা গিয়েছে আইএসএফ চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকির গলাতেও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই একসঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংযুক্ত মোর্চার জোটের ঘোষণা করতে পারেন সেলিম-মান্নান-আব্বাসরা।
বামেদের সঙ্গে জোটরফা আগেই চূড়ান্ত হলেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃ্ত্বের অনড় মনোভাবে জোটের জট ঝুলেছিল। এমনকী, বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতেই কংগ্রেসকে কার্যত হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। জোটের জট কাটাতে মঙ্গলবার সকালে আলিমুদ্দিনে শুরু হয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। অধীর চৌধুরী অনুপস্থিত থাকলেও কংগ্রেসের তরফে ছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। বামেদের পক্ষে আলোচনা শুরু করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সূত্রের খবর, নওসাদ সিদ্দিকির উপস্থিতিতেই আটটি আসন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের ছ’টি এবং দক্ষিণবঙ্গের দু’টি আসন। এদিন বৈঠক শেষে নওসাদ বলেন, ‘মধ্যমগ্রাম এবং মুরারই আসন দু’টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে।’ আবদুল মান্নানও বলেন, ‘দু-একটি আসন বাকি রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় তা সমাধান হয়ে যাবে।’ যদিও কংগ্রেস শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকটি আসনই আব্বাসের দলকে ছাড়তে রাজি হয়ে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। হাইকম্যান্ডের থেকে সবুজ সংকেত মিলছে বলেও জানা যায়।
মান্নান বলেন, বামেদের সঙ্গে কিছু আসন অদলবদল করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিছু কম বেশি হতে পারে। তবে সংযুক্ত মোর্চার জোট ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত বলেই জানান তিনি।
