সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই কংগ্রেসের ডাকে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকে থাকছে না তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার এই সংবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধরনের বৈঠকে মূলত বিরোধী ঐক্য তুলে ধরা আর সংসদে ফ্লোর কো-অর্ডিনেশন নিয়ে মহড়া হয়ে থাকে। সেই বৈঠক কেন এড়িয়ে গেল তৃণমূল তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলে জল্পনা চলছে।
যেখানে তৃণমূল জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির ঘোর বিরোধী সেখান সরকার বিরোধী এই মঞ্চ কেন ব্যবহার করছে না তৃণমূল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কিছু রাজ্যের স্থানীয় রাজনীতির চাপে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। গোয়াতে বা মেঘালয়ে তৃণমূলের উত্থান কংগ্রেস দলছুটদের নিয়েই। তাই এতে করে ফের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘কুস্তি ও দোস্তি’র ফর্মুলা সামনে এসে যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের জমি শক্ত করতে সেখানকার কংগ্রেসের ‘পুরনো বন্ধু’দের সাহায্য তৃণমূল নিচ্ছে এতে কংগ্রেস হাইকমান্ডও সাদা মনে মেনে নিতে পারছে না। তাছাড়া রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বিরোধী শিবিরের মশাল কংগ্রেসের হাতে থাকুক তা ভোট-কুশলী পিকেও চান না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী ২০২৪-এ লোকসভায় নেতৃত্ব দেখার স্বপ্ন সাকার করতে এই বিরোধী বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া হয়তো কৌশল মাত্র। তবে তাতে বিরোধী ঐক্য ধাক্কা খাবে কিনা তা ভবিষ্যৎই বলবে।