মা কালী নিয়ে তাঁর মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগকে আহত করেছে। এই অভিযোগে হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের কঠোর সমালোচনায় যখন বিদ্ধ মহুয়া মৈত্র, তখন দলের এই সংসদের পাশে দাঁড়ায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী, মহুয়ার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে, বিজেপির রাজনৈতিক ফায়দা তোলার মরিয়া চেষ্টায় জল ঢেলে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় দলীয় সাংসদের মন্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত, দল এই মন্তব্য কোনওভাবেই সমর্থন করে না। এরপর নিজে টুইট করে মহুয়া নিজের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করার চেষ্টাও করেন। জানান,” মা কালী মদ মাংস খান”, এই মন্তব্য কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের চেষ্টা নয়, কোনও পরিচালক বা তথ্যচিত্রকে সমর্থনও নিয়ে। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের তারাপীঠে গিয়ে মায়ের ভোগ কী দেওয়া হয়, সেটা দেখে আসার পরামর্শও দেন। কিন্তু এরপরেই আচমকা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলকে ‘আনফলো’ করলেন মহুয়া। আর তারপরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তাহলে কি ‘কালী’ বিতর্কে দলকে পাশে না পেয়েই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন “অভিমানী” সাংসদ! যদিও দুপুরে খবর লেখা পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডেলকে ‘ফলো’ করছেন মহুয়া।
প্রসঙ্গত, সম্প্রীতি ‘কালী’ তথ্যচিত্রের একটি পোস্টার সামনে এসেছে। যেখানে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে সিগারেট হাতে দেখা গিয়েছে। এই পোস্টার ঘিরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই প্রসঙ্গেই মহুয়া বলেন, মা কালীকে নিজের মতো করে কল্পনা করার অধিকার সবার রয়েছে। এমনকী, তাঁর চোখে মা কালী মদ ও মাংস খাওয়া দেবী বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ। এর পরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে।