মালদার বিপ্লবী কমলকৃষ্ণ চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীদের হাতেই প্রথম সূচনা হয়েছিল দশ মাথার কালীপুজোর। ১৯৩০ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি ব্যায়াম সমিতির নামে শুরু হওয়া এই পুজোয় রয়েছে একাধিক বৈশিষ্ট। মা কালীর প্রতিমায় রয়েছে ১০টি মাথা ও ১০টি হাত। কালী প্রতিমায় শিবের কোনো স্থান নেই। মায়ের পায়ের তলায় থাকে অসুরদের কাটা মুন্ড।
এই কালীপুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট হল, অমাবস্যা তিথিতে এখানে পুজো হয় না। বরং তান্ত্রিক মতে মায়ের পুজো হয় কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। এখনও এই পুজোয় বলিপ্রথার চল রয়েছে। শোভাযাত্রা সহকারে ভূত চতুর্দশীর সকালে মা কালীকে মন্দিরে আনা হয়। চতুর্দশীতেই পাঠাবলির রক্ত মাকে উৎসর্গ করে পুজো শুরু হয়। মায়ের ভোগ হিসেবে তৈরি হয় বিশেষ শোল মাছের অম্বল। অভিনব দশভূজা ও দশ মাথার কালীপুজো দেখতে ভিড় জমান বিভিন্ন এলাকার মানুষ।