পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। আর সেই ভোটে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে উচ্ছেদ করতে বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে শুরু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ২১ জুলাই শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকেই বিরোধী জোটের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এরপর পাঁচদিনের দিল্লি সফরে গিয়ে সরাসরি এবিষয়ে আলোচনা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও। পাঁচ দিনের এই সফর শেষে শুক্রবার দিল্লি ছাড়ার আগে মমতা জানালেন, জোটের আলোচনা সদর্থক। এমনকী, জোটের অস্ত্রে শান দিতে এবার থেকে প্রতি দুমাস অন্তর তিনি দিল্লি সফর করবেন বলেও জানান তৃণমূল নেত্রী।
২০১৪ সালে গুজরাটের উন্নয়নকে মডেল করে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ২০১৯ সালে মোদি সরকারকে হটাতে নোটবন্দি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শেষমেশ মহাজোটের ভাবনা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত করা যায়নি। ফলে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কিন্তু বর্তমানে পেট্রোল ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে কার্যত অনেকটাই ব্যাকফুটে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এর উপর সম্প্রতিক পেগাসাস কাণ্ড বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে ব্যক্তির গোপনীয়তার এই অধিকার লঙ্ঘনকে হাতিয়ার করতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূলনেত্রী। সংসদে তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদরাও বিরোধিতায় সরব হন। এরমধ্যেই দিল্লি সফরে গিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের আলোচনা শুরু করেন মমতা। এবার আর গুজরাট নয়, বাংলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিকে মডেল করে ২০২৪-এ মোদি বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসুক, এটাই লক্ষ্য তৃণমূল নেত্রীর। সেই লক্ষ্য পূরণেই এবার থেকে নিয়মিত দিল্লি সফরে বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে চব্বিশের রণকৌশল ঠিক করবেন তিনি।