দাঁতের মর্ম না বুঝলে অকালেই হারাতে হতে পারে যৌন জীবন। এমন আশঙ্কার কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। সতর্ক করে দিয়ে তাঁরা বলছেন, দাঁত নিয়ে যত্নবান না হলে পুরুষের যৌন সক্ষমতা কমতে পারে। ফলে অসতর্কতায় ক্ষতি হতে পারে দাম্পত্য জীবনেরও।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষ অক্ষমতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পেরিওডন্টিটিস। এই পেরিওডন্টিটিস হল এক ধরনের মাড়ির সংক্রমণ। যা দাঁত ও মাড়ির সফ্ট টিস্যুর ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে মুখের ভিতরের হাড়, যা দাঁতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, তাও দুর্বল হয়। ফলে দাঁতের ও মুখের অসুখ বাড়ে।
কিন্তু দাঁত দুর্বল হলে যৌন জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কেন? সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে, দাঁতের এই অসুখ পেরিওডন্টিটিস পুরুষের জীবনে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ডেকে আনে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পেরিওডন্টেটিস এক ধরনের সিস্টেমিক ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ তৈরি করে। যা রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর জেরে রক্তের এন্ডোথেলিয়াল কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা পুরুষাঙ্গকে স্তিমিত করে দেয়। ফলে শারীরিক উত্তেজনা যখন জাগার কথা, অঙ্গ সাড়া দেয় না। ফলশ্রুতি ইরেক্টাইল ডিসফাংশান। সঙ্গিনীর সঙ্গে উত্তেজনার চরম মুহূর্তে শারীরিক সম্পর্কে বাধা আসে। উত্তেজনা স্তিমিত হয়। বন্ধ্যাত্বও আসে। সাধারণত শারীরিক সম্পর্কে দক্ষতায় পৌঁছনোর বয়স অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৪০ বছরের পুরুষদের মধ্যে পেরিওডন্টেটিস দেখা দেয়।
কলকাতার প্রখ্যাত পেরিওডন্টোলজিস্ট ডাঃ হিমাদ্রি চক্রবর্তী জানান, ‘মাড়ির যে কোনো সংক্রমণই খুব ভয়ানক। এর থেকে নানা ধরনের শারীরবৃত্তিয় জটিলতা হতে দেখা গেছে। আর রক্তের উপাদানে ভারসাম্য হারালে ইরেক্টাইল ডিসফাংশান সহ আরও বিভিন্ন উপসর্গ হওয়া অসম্ভব নয়।’
তাই দাঁতের সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম’ বুঝুন। নিজের শারীরিক সক্ষমতাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের পরিচর্যায় রাখুন। সুস্থ থাকুন। দাম্পত্য হোক মধুময়।
