নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে অবশেষে শনিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল সুমিত কুমার। অন্যদিকে, ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে এল নতুন তথ্য। রিপোর্টে ওই ফ্ল্যাটে তৃতীয় ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ মিলেছে। ওই আঙ্গুলের চাপ ভরত কুমারের নাকি অন্য কারও তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার সকালে মোহালি থেকে প্রথমে তাকে আটক করে পঞ্জাব পুলিশ। বেশ কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই সুমিত কুমারের পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল নিউটাউন সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটটি। যে ফ্ল্যাটের ঘরেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় পঞ্জাব থেকে এসে গা ঢাকা দেওয়া দুই গ্যাংস্টার।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন, এনকাউন্টারের আগেই পঞ্জাব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ভরত কুমারই আদতে সুমিত কুমার। কিন্তু এদিন সুমিত কুমার গ্রেফতার হতেই ভুল ভাঙে। সুমিতকে জেরা করে পঞ্জাব পুলিশ জেনেছে, বাড়ি ভাড়া নেওরার জন্য সুমিতের পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হলেও সে নিজে কোনও যোগাযোগ করেনি বা ওই পরিচয়পত্র জমাও দেয়নি। ভরতই সুমিতের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করে নিউটাউনের ওই অভিজাত বিলাসবহুল আবাসানে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। এমনকী, প্রথম দিন দুই গ্যাংস্টারকে সঙ্গে নিয়ে ভরত নিজেই ওই ফ্ল্যাটে আসে এবং কিছুক্ষণ পর দুজনকে রেখে চলে যায়। তবে পুলিশ মনে করছে ভরতের সঙ্গে সুমিতের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।