বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর শরীর ভালো ছিল না। কিন্তু তাই বলে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন, তা কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি। অথচ তাই হল, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা শেখের স্বামী রমজান শেখ। বিষ্ণুপুর ও বাকরাহাট এলাকায় রাজনীতি শুরু করলেও পরে ২০০৯ সালে জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির দায়িত্ব নেন। জেলা জুড়ে বামবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। অবশ্য তৃতীয়বার সামীমা জেলাপরিষদ সভাধিপতি হলেও বছর দুয়েক ধরে তাঁর আগের মতো প্রভাব ছিল না।
তাঁর বিরুদ্ধে দলের শীর্ষস্তরে নানা অভিযোগ জমা পড়লেও নেতৃত্বের সুনজরে ছিলেন সভাধিপতি।রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ও ভেন্টিলেশন দিয়েও চিকিৎসকরা সমস্ত চেষ্টা করেও ফেরাতে পারলেন না। রাত দশটা নাগাদ মারা গেলেন রমজান। কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসপাতালের বাইরে উপস্থিত বিষ্ণুপুর তথা বাকরাহাট এলাকার কয়েক’শ নেতা কর্মী।শোকে পাথর হয়ে যান স্বয়ং সভাধিপতি। খবর পেয়ে মিনিট কয়েকের মধ্যে হাসপাতালে আসেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, দুই বিধায়ক শওকত মোল্লা ও ফিরদৌসি বেগম, জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্র প্রমুখ। সোমবার দুপুরে নমাজের পর বাকরাহাটে জানাজা শেষে কবর দেওয়া হবে প্রয়াত নেতাকে। রমজানের আকস্মিক প্রয়ানে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।