কারও মতে মহালয়া পিতৃপক্ষের অবসানের দিন, কেউ আবার এই দিনটিকে দেবীপক্ষের সূচনা হিসাবে উদযাপন করে থাকেন। এই বিশেষ দিনেই পরলোকগত পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশে জলদানের মাধ্যমে তর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানোর রীতি রয়েছে শাস্ত্র মতে। নির্দিষ্ট সময়ে কোনও কারণে পরলোকগত পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে না পারলে এই বিশেষ তিথিতে তা করার বিধান রয়েছে শাস্ত্রে। অমাবস্যা তিথি প্রেতকর্মের জন্য শুভ বা প্রশস্ত হওয়ায় পিতৃপক্ষের অমাবস্যা তিথি পরলোকগত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদানের পক্ষে শুভ। পিতৃপক্ষে পরলোকগত পূর্বপুরুষকে জল দান করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদে সংসারে বাধাবিঘ্ন নাশ হয়, সংসারে শান্তি আসে, শ্রীবৃদ্ধি হয়। পিতৃপক্ষের শেষ দিন হিসাবেই মহালয়া তিথি তাই বিশেষ পরিচিত।
অন্যদিকে, এই মহালয়া তিথিতেই দেবী দুর্গা মর্তে আগমন করেন। সেই কারণে মহালয়া তিথি হল পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের সূচনার সন্ধিক্ষণ। অমবস্যার পরবর্তী তিথি প্রতিপদ থেকেই তাই শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা। এই মহালয়া তিথিতেই দেবী দুর্গা মহিষাসুর নিধনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সেই কারণে এই দিনকে মহিষাসুর মর্দিনির আবির্ভাবের দিন হিসাবে ধরা হয়। তাই মহালয়া হল পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরুর তিথি।