হাতে মাত্র চারদিন। তারপরেই মজুত কয়লা সংকটের জেরে দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির শক্তি উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে পঞ্চমী থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সংকট শুরু হতে পারে। আশির দশকের লোডশেডিং রাজ ফিরতে পারে বাংলায়। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জে্যাতি বসু। তাই লোডশেডিং শুরু হলেই তখন বাচ্চা—বুড়ো সবাই মজা করে বলতেন, ‘জে্যাতিবাবু চলে গেলেন।’ ফের তেমনই ভয়ংকর অন্ধকার ও দুর্ভোগের দিন ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রকের।
করোনা লকডাউন উঠতেই দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। কেন্দ্রের দাবি, দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির সঙ্গে দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা খুলছে। যার ফলে হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। গতবছর এই সময় যা বিদ্যুতের চাহিদা ছিল এই মুহূর্তে বিদ্যুতের চাহিদা তার ৭০ শতাংশ বেশি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কয়লা সরবরাহের এই সমস্যায় ভুগছে দেশের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি এবং ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের বন্যা পরিস্থিতি কয়লা সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক যে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে মাত্র চারদিনের কয়লা মজুত আছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের অধিকাংশ কয়লা খনিকে সতর্ক করা হয়েছে। যদিও, ভয়ংকর এই পরিস্থিতিকে বিদ্যুৎ সংকট বলতে রাজি নন কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী আরকে সিং । তাঁর বক্তব্য, “এটা বিদ্যুৎ সংকট নয়। আমরা দেশের চাহিদা পূরণ করছি। কিন্তু চাহিদা বেড়েই চলেছে। গতকাল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা গতবছরের এই দিনের তুলনায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট বেশি ছিল।”