লিভ ইন রিলেশনশিপকে নৈতিকতার নজরে নয়, বরং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা উচিত। কার্যত লিভ ইনের সমর্থনে সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
সায়রা খাতুন ও তাঁর বন্ধু হাইকোর্টে একটি মামলা করে জানান, তাঁদের লিভ ইন রিলেশনশিপ নিয়ে সমাজে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। পরিবার ও সমাজের ব্যক্তিরা তাদের সুস্থ জীবন যাপন করতে বাধা দিচ্ছে। এমনকী, পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ তাঁদের কোনও সাহায্য করেনি। একইভাবে জান্নাত ও তাঁর বন্ধুও একই মামলা দায়ের করেন।
লিভ-ইন মামলার প্রথম শুনানিতেই, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি প্রীতঙ্কর দিওয়াকার ও আশুতোষ শ্রীবাস্তব গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেছেন। কোর্টের মত, লিভ ইন রিলেশনশিপ জীবনেরই একটি অংশ এবং অঙ্গ। সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুসারে, জীবনের অধিকার যে কোনও মূল্যে সুরক্ষিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। লিভ ইন রিলেশনশিপকে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করতে হবে, বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা। আদালতের মত, এই ধরনের ঘটনায় পুলিশ বা প্রশাসন অভিযোগকারীর অধিকার নিশ্চিত করতে বাধ্য।
আইনজ্ঞদের মতে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ, আগামী দিনে লিভ ইন রিলেশনশিপ নিয়ে নতুন দিশা খুলে দিল দেশের সামনে। দুই মামলা নিয়ে কার্যত লিভ-ইনকে আরও বেশি মর্যাদা দেওয়ার স্বপক্ষে মত দিয়েছে কোর্ট।