“এক ঝাঁক ইচ্ছে ডানা, যাদের আজ উড়তে মানা, মিলবেই তাদের অবাধ স্বাধীনতা”-লিখেছিলেন বাংলার এক নগর কবিয়াল। মানুষের ইচ্ছের সামনে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। একটা ছোট্ট পানের দোকানে বসে কাজের ফাঁকেই লিখে ফেলেছেন ১১টি পূর্ণ দৈর্ঘের উপন্যাস। এমনকি ২০০টি গল্প ও ১০০টি প্রবন্ধ জমা আছে তাঁর ঝুলিতে।
আসুন সেই ব্যক্তিটির সাথে আপনাদের আলাপ করিয়ে দিই। নাম পিন্টু পোহান, বেহালা চৌরাস্তার বাসিন্দা। বাড়ির কাছেই মদনমোহনতলায় তাঁর পানের দোকান। সাদা পাতা আর মিঠে পাতার ফরমায়েসের মাঝেই, নিয়মিত কলম চলেছে তাঁর। প্রথম দিকে অনেকে ঠাট্টা করেছে, কিন্তু দমানো যায় নি পিন্টুকে। নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে চার চারটে গল্পের বই।
পিন্টুর কাহিনী এখানেই শেষ নয়। লেখালেখির ফাঁকেই করে গেছেন বিদ্যার দেবীর সাধনা। পানের দোকানে বসে পড়াশোনা করে পাশ করেছেন স্নাতক স্তরের পরীক্ষা। এমনকি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও ভরে নিয়েছেন নিজের ঝুলিতে। যাঁরা এক সময় পিন্টুকে উপহাস করতেন, তাঁরাই আজ সম্ভ্রমের সাথে কথা বলেন পিন্টুর সঙ্গে। পিন্টু পোহানের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি পরিবারের সদস্য থেকে এলাকার বাসিন্দারা।