স্বপ্নরেখা সেনশর্মা
বিধানসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হওয়া হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল রাজ্যপাল আটকে দেওয়ায় পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হল। কারণ, ওই বিলটি আইনে পরিণত না হলে বালি পুরসভাকে বাদ দিয়ে ৫০ ওয়ার্ডের যে এলাকা নিয়ে ভোট হওয়ার কথা, তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এমনিতে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের ১১৪টি পুরসভাতেই একইদিনে ভোটগ্রহণের দাবিতে বিজেপির জনস্বার্থ মামলা, তার উপর বিলে রাজ্যপালের সম্মতিতে বিলম্ব, দুই মিলিয়ে আসন্ন পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আরও প্রবল হচ্ছে।
হাওড়া পুরসভা সংশোধনী-২০২১ বিল বিধানসভায় গত ১২ নভেম্বর পাশ হওয়ার পর রাজভবনে পাঠানো হলেও এখনও রাজ্যপাল স্বাক্ষর করেননি। উল্টে সম্মতি দেওয়ার আগে বিলটি নিয়ে বিধানসভায় কী আলোচনা হয়েছে, তার তথ্য জানাতে বললেন রাজ্যপাল। রবিবার বিধানসভার সচিবকে তথ্য চাওয়ার চিঠি ধনকর নিজেই টুইট করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিলে সম্মতি দিতে দেরি করে আসলে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিজেপির দাবিকে কার্যত সাহায্য করছেন রাজ্যপাল।
বালির অংশ বিযুক্ত করায় স্রেফ ৬৬ ওয়ার্ডের পরিবর্তে হাওড়ায় ৫০ ওয়ার্ড হল, এটুকুই ওই বিলে স্রেফ সংশোধনী। তবু রাজ্যপাল যে সমস্ত প্রশ্ন প্রকাশ করেছেন, তার পুরোটাই নথি দিয়ে বিধানসভার তরফে জানানো হয়েছে। সংশোধনী বিলটিতে দ্রুত সম্মতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চারদিন আগে রাজ্যপালকে চিঠি দেন বিধানসভার সচিব। সেই চিঠির উত্তরে আরও কী কী নথি ও তথ্য প্রয়োজন, তা জানিয়ে রাজ্যপাল বিধানসভার সচিবকে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যার সংশোধনীতে যদি ২৫ নভেম্বরের আগে রাজ্যপাল সই না করেন, তাহলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণা করতে পারবে না। চিন্তায় তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তেজনায় ঘুম ছুটেছে প্রার্থীদের।