যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন-রাশিয়া দু’ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষ্ফল আলোচনার পর ইউক্রেনে শুক্রবার হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। রুশ সেনাদের বিশাল বহর ভাগ হয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে অবস্থান নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। প্রথমবারের মতো নতুন তিনটি শহরেও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করে বলেছেন, বিভিন্ন পশ্চিমী দেশের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করেই রাশিয়া ঘুরে দাঁড়াবে। এসব নিষেধাজ্ঞার ফলে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটে অন্য দেশগুলিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ, উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মারিউপোলসহ কয়েকটি শহর সপ্তাহখানেক ধরে ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী। গতকাল নতুন করে উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের লুৎস্ক, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক এবং মধ্য-পূর্বাঞ্চলের নিপরো শহরে প্রথমবারের মতো হামলা হয়েছে।
ইউক্রেনের পার্লামেন্ট সদস্য ইন্না সোভসুন গতকাল টুইটে লিখেছেন, ইউক্রেনে আর কোনো নিরাপদ শহর নেই। তিনি সংবাদসংস্থা বিবিসিকে বলেন, ‘দু’ সপ্তাহ ধরে আমরা শুধু দিনের বেলায় বড়জোর তিন ঘণ্টা ঘুমাই। সন্তানদের জীবন নিয়ে আমরা আতঙ্কিত, কিন্তু তেমন কিছু করতে পারছি না। আমরা আত্মসমর্পণ করতে পারি না। আমরা তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না। আমাদের আসলে লড়াই করা ছাড়া উপায় নেই।’ যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমী দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা হামলা বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন ইউক্রেনের পার্লামেন্টের এই সদস্য।