Sambad Samakal

TMC: বিকৃত ও অর্ধসত্য তথ্য কেন? সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে পূর্ণ তথ্য সামনে এনে অভিযোগ তৃণমূলের

Aug 10, 2022 @ 9:43 pm
TMC: বিকৃত ও অর্ধসত্য তথ্য কেন? সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে পূর্ণ তথ্য সামনে এনে অভিযোগ তৃণমূলের

সম্পত্তি বেড়েছে তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর। এই তথ্যকে হাতিয়ার করে যখন দু’দিন ধরে হইচই ফেলে দিয়েছিল বিরোধীরা, তখন এবিষয়ে বিকৃত ও অর্ধসত্য তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনল তৃণমূল। ‘পূর্ণ সত্য’ সামনে নিয়ে এসে বুধবার ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরও পাঁচ মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শিউলি সাহা।

এদিন সংবদিক বৈঠক করে ফিরহাদরা বলেন, “বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস অর্ধসত্য প্রচার চালাচ্ছে।” সম্পত্তি বৃদ্ধির খতিয়ানের সম্পূর্ণ তালিকা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “অধীর চোধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ বিরোধী দলের একাধিক নেতার নাম ওই তালিকায় রয়েছে।”

ফিরহাদ বলেন, “নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সব হিসাব দিয়েছি। আয়কর দফতর তো কোনও পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো অন্যায় নয়।”

আক্রমণাত্মক মেজাজে এদিন দেখা যায় ফিরহাদদের। কলকাতার মেয়র বলেন, “এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা।” তাঁর প্রশ্ন, “অমিত শাহর ছেলে জয় শাহর সম্পত্তির পরিমাণ কত?” তাঁর অভিযোগ, “বিজেপির বি টিম হয়ে কংগ্রেস-সিপিএম আক্রমণ করছে।” ফিরহাদ বলেন, “পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অর্ধেক তথ্য প্রকাশ করছেন কেন? সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, আবু হেনা, সূর্যকান্ত মিশ্রর। নাম আছে অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, নেপাল মাহাতোরও। কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ তথ্য উল্লেখ না করে অর্ধসত্য তথ্য সামনে এনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বিরোধীরা।”

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন জনৈক বিপ্লব চৌধুরী। গত সোমবার তাঁর আইনজীবী শামিম আহমেদ হাই কোর্টে বাংলার ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর একটি তালিকা-সহ তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিয়েছিলেন। সেখানে দেখান, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ১৯ জনের সম্পত্তি ‘বিপুল ভাবে’ বেড়েছে। বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলার রায়ের কপি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীরা। ফিরহাদ বলেন, ‘‘মানুষের কাজ করার জন্য আমরা ব্যক্তিগত সুখ বিসর্জন দিয়েছি। মানুষের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়েছি। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আমাদের অপমান করা হচ্ছে।’’

Related Articles