জয়মাল্য দেশমুখ: বিগত দু’বছরে করোনা অতিমারীর দাপটে চূড়ান্ত ‘অস্থির’ হয়ে উঠেছিল গোটা পৃথিবী। বিশ্বজনীন নিরাপত্তাহীনতা আমাদের সারাক্ষন তাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছিল। আর সেই ‘অস্থিরতা’ থেকে পৃথিবীকে আবার ‘শান্ত’, স্বাভাবিক করতে চাইছে সুরুচি সংঘ। নিউ আলিপুরের এই ক্লাব নিজেদের নতুন নতুন ভাবনায় প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় কিছুনা কিছু চমক দিয়ে থাকে। এবছর তাদের থিম ভাবনা ‘পৃথিবী আবার শান্ত হবে’।
বাইরে থেকে লোহা ও টিনের মাধ্যমে একটি বিশাল গম্বুজাকৃতি মন্ডপ তৈরী করা হয়েছে। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন মুখাবয়বের ইনস্টলেশন। আর মন্ডপের ভেতরে থাকছে বিশেষ আলোকক্ষেপনের ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত। এমনকী লাইট ও সাউন্ডের মাধ্যমে তৈরি হয় সমুদ্রের গর্জন, প্রলয়ংকর ঝঞ্ঝা, পাখির কলতান সবই উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা। সামগ্রিক ভাবে মন্ডপের ভেতরে স্বাভাবিক ‘শান্ত’ একটি পৃথিবীর সুখস্মৃতিই তুলে ধরা হবে।
এবছর সুরুচির ত্রিমাত্রিক মাতৃমূর্তি সাবেকী ঘরানার। ‘অশান্ত’ পৃথিবীর সমুদ্রের মাঝখান থেকে উৎসারিত মা সবকিছুকে ‘শান্ত’ করে দিচ্ছেন। মন্ডপের ভেতরে হলোগ্রাফিক আলোকক্ষেপনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া আবহে কার্যত তারামণ্ডলের অভিজ্ঞতা পাবেন দর্শকরা। প্রতি বছরের মতো এবছর দর্শনার্থী সহ পুজোর সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্য সুরক্ষা বীমার ব্যবস্থা থাকছে। এবছর নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ সুরক্ষা বীমা বাবদ খরচ করছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। স্বনামধন্য শিল্পী রিন্টু দাসের সামগ্রিক এই পরিকল্পনা দর্শকদেরও আকর্ষিত করতে বাধ্য।