মৎস্যজীবীদের জন্য এবার নতুন পদক্ষেপ রাজ্যের। দুয়ারে সরকার প্রকল্পেই এবার হবে মৎস্যজীবীদের বিমার নাম নথিভুক্তকরণ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১ নভেম্বর থেকেই চালু হচ্ছে নতুন এই পরিষেবা। দুয়ারে সরকার শিবিরে এর জন্য থাকবে পৃথক কাউন্টার। সেখানেই বিশেষ ফর্মে ছবি ও পারিবারিক তথ্য দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি জানান, সমুদ্রে ও নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক সময়ই দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে মৎস্যজীবীদের জীবনহানি ঘটে। সেক্ষেত্রে তাঁদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। এই কারণে দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরা পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জীবন সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে দরবার করছিলেন। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিমা চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাই আসন্ন দুয়ারে সরকার শিবির থেকেই বিমার জন্য মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্তিকরণ শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী। তবে এখনই গোটা রাজ্যে মিলবে না এই পরিষেবা। প্রথমে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবীদের এই বিমার আওতায় আনা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে বাংলার সব জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
মৎস্যমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে প্রত্যেক বিমাকারীর পরিবার পাবে পাঁচ লক্ষ টাকা পাবে। জখম হলে প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসার জন্য মিলবে ৫০ হাজার থেকে চারলক্ষ টাকা পর্যন্ত।