গরু পাচার থেকে উপার্জিত টাকা অনুব্রত মণ্ডল বিনিয়োগ করেছেন মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে? তদন্তে উঠে আসা বেশ কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এমনটাই সন্দেহ করছেন ইডি আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরেই এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিটকে তলব করল ইডি। বুধবারই দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, এদিনই ফের দিল্লিতে তলব করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আরও এক ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে। একাধিক চালকলের মালিক রাজীবকে এর আগেও তলব করে ইডি।
সূত্রের খবর, তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণে মলয় পিটকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া ভোলে ব্যোম চালকলের কোটি কোটি টাকা ঢুকত মলয়ের অ্যাকাউন্টেই। ওই চালকলের মলিক হিসেবে নাম রয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। আবার শান্তিনিকেতনে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পাশাপাশি আরও একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তৈরি করেছেন মলয়। রকেটের গতিতে তাঁর এই উত্থান কী ভাবে সম্ভব হল, সে দিকেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, মলয়ের বহু প্রতিষ্ঠানে অনুব্রতর অনুদান ছিল। অনুব্রতর আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকা মলয় পিটের স্বাধীন ট্রাস্টে লেনদেন হয়েছে বলে খবর। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই টাকাই বিনিয়োগ হয়েছে মলয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। মলয় পিটকে জেরা করেই এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয়কে সিবিআই দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।