কেন্দ্র সরকারের কর্মীদের সঙ্গে মহার্ঘ্য ভাতায় তফাৎ ছিল প্রচুর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বাজেটে তিন শতাংশ বাড়ল ডিএ, তারপরেও কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীদের সঙ্গে তফাৎ থেকে গেল ৩২ শতাংশ। আর তাতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ প্রশমন হচ্ছে না।
সাধারণত কেবিনেট বৈঠকে ডিএ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আগামী অর্থবর্ষের বাজেট ভাষণ চলাকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকুটের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে এই মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির নির্দেশ পাঠান। তখন বাজেট ভাষণেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী যদিও এদিন বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। রাজ্যের টাকা দিয়েই সব করতে হচ্ছে। তার মধ্যেও এই মহার্ঘভাতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হল। এর জন্য রাজ্য সরকারের প্রতিমাসে অতিরিক্ত খরচ হবে ১৬০ কোটি টাকা।
সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার রাতের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গতকাল যৌথমঞ্চ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিল, বকেয়া ডিএ না পেলে তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটিতে যোগ দেবেন না, যা কার্যত সরকারের উপর একপ্রকারের চাপ তৈরি করার কৌশল ছিল বলেই মত অনেকের।
উল্লেখ্য, মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে চলা মামলার সুপ্রিম কোর্টে চলতি মাসেই শুনানি হওয়ার কথা। তাই মাত্র তিন শতাংশে কর্মচারীদের ক্ষোভ মেটার থেকে বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের অনুমান।