সাত বছরের শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে অগ্নিগর্ভ তিলজলা। বন্ডেল রোড , পিকনিক গার্ডেনে একের পর এক পুলিশের গাড়িতে আগুন ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুন নেভাতে আসা দমকলের ইঞ্জিন লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টিও। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক মোটর বাইক। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা পুলিশের। রাস্তার পাশাপাশি, রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তিলজলার স্থানীয়রা। যার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখার রেল চলাচল। অবরোধের কারণে প্রায় ২০টি রেল লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে। চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় যাত্রীদের।
সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়ছিল বিক্ষোভের আঁচ। বেলা গড়াতেই তা ভয়ংকর রূপ নেয়। স্থানীয়দের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় পথচলতি সাধারণ মানুষকেও। রাস্তা আটকে শুরু হয় একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। বিক্ষোভকারদের হঠাতে তৎপর হয় পুলিশও। শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড় এবং লাঠিচার্জ। ঘটনাস্থলে হাজির হন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ছোড়া হয়
কাঁদানে গ্যাসের সেলও।
তিলজলায় অপহরণের পর যৌন নির্যাতন করে সাত বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগ সামনে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পুলিশ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই শিশু। অভিযোগ, রবিবার সকালেই থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ তৎপর না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরে রাতেই এলাকায় ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে এক মহিলা সহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অবিলম্বে ওই তিন জনের মুক্তি এবং শিশু খুনে অভিযুক্ত আলোক কুমারকে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে শুরু হয় জঙ্গি আন্দোলন।
উল্লেখ্য, সন্তান লাভের আশায় তান্ত্রিকের কথা শুনে ওই সাত বছরের শিশুকে খুন করেছেন বলে পুলিশের জেরায় দাবি করেছে নিঃসন্তান আলোক। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তান্ত্রিককে ধরতেও বিহারে কলকাতা পুলিশের একটি দল পাঠানো হতে পারে।